পিরোজপুর প্রতিবেদক ॥ “চলো চলো পশুর হাটে চলো” এই স্লোগান নিয়ে আসন্ন ঈদ-উল-আজাহা উপলক্ষে জমে উঠতে শুরু করেছে পিরোজপুর জেলার সর্ববৃহৎ ভান্ডারিয়া উপজেলার শিয়ালকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট। বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ আসছে এ হাটে পশু ক্রয় বিক্রয়ের জন্য। এছাড়া হাটে মিলছে চাহিদা মতো বিপুল পশুর সমারোহ। তাই সামর্থের মধ্যে থেকে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারছে তাদের পছন্দের পশুটি।বর্তমানে পশুর দাম নি¤œমুখী বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া গত বছরগুলোর তুলনায় মহামারী করনো ভাইরাসের কারনে এবার বৃহত্তর এই হাটে ক্রেতার সমাগমও তুলনামূলক কম।
এ হাটের নিয়মিত ব্যবসায়ী মোঃ মনির কাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিএসএল নিউজকে জানান, গত বছরগুলোতে এই সময় যে ভাবে পশু কেনা-বেচা হতো এবার তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ক্রেতা-বিক্রেতারা এখনো বাজারে আসতে ভয় পচ্ছে। সেই সাথে অর্থনৈতিক সংকট ও বিরাজ করছে। তবে সকল প্রতিকূলতার মধ্যেও পশু সমারোহ বেড়েই চলছে হাটটিতে। ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য রয়েছে অনেক সুযোগ সুবিধা। তাছাড়া দাম কিছুটা কম থাকায় দেশী খামারীরা দূরচিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। হাট কতৃপক্ষের কাছ থেকে যানা যায়, এখানে ৪৫০ নিয়মিত গরু ব্যবসায়ী রয়েছে। নেই চাঁদাবাজির কোন অভিযোগ। কতৃপক্ষ ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বক্ষণিক নজরদারি রয়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তায়। পশু প্রতি হাট কতৃপক্ষ ক্রেতাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। শনি ও মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন সার্বক্ষণিক এ হাটে পশু কেনা-বেচা হয়। অনেক ব্যবসায়ীরা এখানে স্থায়ী ভাবে সেট তৈরী করে কেনা-বেচা করছেন। তাই ক্রেতারা এ হাট থেকে দিন রাত যখন খুশি ক্রয় করতে পারছেন প্রয়োজনীয় কাক্ষিত পশুটি।
Leave a Reply